আদিম যুগে মানুষ প্রতিদিনের খাবার প্রতিদিন সংগ্রহ করত। ঝড়বৃষ্টি বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই পদ্ধতিতে খাবার সংগ্রহ করা ছিল কিছুটা অসুবিধাজনক। ধীরে ধীরে তারা খাবার সংরক্ষণে মনোযোগ দেয়। প্রাথমিক অবস্থায় যেকোনো খাবার রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করলেও ধীরে ধীরে আরো অনেক পদ্ধতি আবিষ্কার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় আবিষ্কৃত হয় জ্যাম ও জেলি। যদিও জ্যাম-জেলি বানানোর প্রক্রিয়া খুব বেশি পুরনো নয়।
অনেক সময় হয়তো তোমরা ভাবো, জ্যাম-জেলি দুটিই বোধ হয় এক। না, জ্যাম ও জেলির মধ্যে আছে বিস্তর পার্থক্য।
জেলি তৈরিতে সরাসরি ফলের রস ব্যবহার করা হয়। তোমরা নিশ্চয়ই অরেঞ্জ জেলি, অ্যাপল জেলি, স্ট্রবেরি জেলি কিংবা মিক্স ফ্রুট জেলির নাম শুনেছ। সব কটিরই প্রধান উপাদান নিজ নিজ ফলের নিংড়ানো রস। যেকোনো ফলের রস প্রাথমিকভাবে পাতলা থাকে।
এই রস ঘন করতে আলাদাভাবে মেশানো হয় পেকটিন। পেকটিন এক ধরনের এসিড, যা বিভিন্ন শাক-সবজি থেকে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। পেকটিন মিশিয়ে ফলের রস ঘন করার পর পরিমাণমতো চিনি মিশিয়ে ফোটানো হয়। ফোটানো এই উপাদান ঠাণ্ডা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রস টেনে বানানো হয় সুস্বাদু জেলি।
অন্যদিকে জ্যাম তৈরিতে কেবল ফলের রস নয়, সরাসরি ফল ব্যবহার করা হয়।
বিভিন্ন ফল মেশিনের সাহায্যে পিষে বানানো হয় জেলির মূল উপাদান। জ্যামে পুরো ফল ব্যবহার করা হয়। তাই খেতে গেলে মাঝেমধ্যেই ছোট-বড় ফলের টুকরা মুখে আটকে যায়। জেলির চেয়ে জ্যামের ঘনত্ব বেশি এবং স্বাদ-গন্ধও কিছুটা আলাদা হয়ে থাকে। তবে জ্যাম ও জেলিতে চিনির পরিমাণ মোটামুটি একই থাকে।
তথ্যসূত্র
Publisher & Editor