গোসল তো প্রতিদিনই করেন। কিন্তু তাতে ত্বক কি পরিষ্কার হয়? কিংবা গোসলের পর শরীরের সমস্ত ক্লান্তি কেটে যায় কি? গোসল করতে গিয়ে এমন অনেক ভুল করে বসেন, যা আদতে শরীর ও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। গোসলের সময় কোন বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া দরকার তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন তাহলে জেনে নিই-
যখন-তখন গোসল নয়
যখন ইচ্ছে গোসল করবেন না।
সকাল, দুপুর, রাত বিভিন্ন সময়ে গোসল করার অভ্যাস ভালো নয়। প্রচণ্ড গরমে দিনে দু-তিন গোসল করতেই হয়। কিন্তু গরম থেকে এসেই গোসল করবেন না। কিছুক্ষণ পাখার নীচে বসে ঠান্ডা হোন, তারপর গোসল করুন।
এতে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
পানির তাপমাত্রা
গরমকালে পানি ঠান্ডা আর শীতকালে গরম হয়। কিন্তু খুব ঠান্ডা কিংবা খুব গরম পানিতে গোসল করবেন না। মাত্রাতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
এখান থেকে ত্বকের প্রদাহ বাড়ে, চুলকানির সমস্যা তৈরি হয়। চেষ্টা করুন বর্ষাকালে ও শীতকালে ইষদুষ্ণ পানিতে গোসল করার।
লুফা বা জালি
বডি ওয়াশ, শাওয়ার জেল কিংবা সাবান- যাই হোক না কেন, গায়ে এগুলো মাখার জন্য লুফা প্রয়োজন। লুফা দিয়ে সাবান মাখলে ত্বকের থাকা মৃত কোষ, ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। একই লুফা বা জালি বাড়ির সবাই ব্যবহার করবেন না।
বাথরুমে ভিজে লুফা রাখবেন না। ভিজে লুফা হলো জীবাণুর আঁতুড়ঘর। জালি ব্যবহারের পর রোদে শুকিয়ে নিন।
গামছা বা তোয়ালে
গা-মাথা মুছে ভেজা তোয়ালে দড়িতে মেলে দেন। এই ভুল করবেন না। গা মুছে নেওয়ার পর ওই ভেজা গামছা বা তোয়ালে সরাসরি শুকনো করতে দেবেন না। আগে ওই ভেজা গামছা বা তোয়ালে ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর শুকিয়ে নিন। ভেজা গামছা বা তোয়ালে ভ্যাপসা গন্ধ ছাড়ে। এতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জমার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
Publisher & Editor