ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেই খুইয়েছে বাংলাদেশ দল। আজকের ম্যাচটি সেই অর্থে দেখলে শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট বাস্তবতায় ভারতের মাটিতে যেকোনো ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, সেখানে একটা জয় পেলেই যে সেটা হতে পারে দারুণ অর্জন। এ কারণে বাংলাদেশের জন্য সিরিজের শেষ ম্যাচটিও গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম দুই ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়া বাংলাদেশ হায়দরাবাদে তৃতীয় ম্যাচে কেমন একাদশ গড়তে পারে?
ওপেনিংয়ে লিটন দাসের জায়গা পাকা। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও লিটনের বিকল্প নেই। সবচেয়ে বড় কথা বিকল্প যাঁরা, তাঁদের চেয়ে লিটনের সামর্থ্য বেশি। অন্য ওপেনার পারভেজ হোসেনকে প্রথম দুই ম্যাচে খেলিয়েছে বাংলাদেশ। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি, প্রথম দুই ম্যাচে আউট হয়েছেন যথাক্রমে ৮ ও ১৬ রানে।
দ্বিতীয় ম্যাচে আউট হয়েছেন দৃষ্টিকটুভাবে। অর্শদীপ সিংহের অফ স্টাম্পের বাইরের বল জোর করে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে, যেন বড় শট শুধু মিড উইকেট দিয়েই খেলা যায়!
পারভেজের জায়গায় দলে ফিরতে পারেন তানজিদ হাসান। তিনি ফিরলে যে পাওয়ার প্লেতে খেলার ধরন পাল্টে যাবে, এমনটা ভাবার কারণ নেই! অন্তত তাঁর স্ট্রাইকরেট দেখলে তেমন ধারণা পাওয়া যায়। আধুনিক সময়ের ক্রিকেটার হলেও ১৪ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ১১৭ স্ট্রাইকরেটে।
তিন নম্বরে আসবেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। তাঁকে নিয়ে বেশি শব্দ খরচের কোনো কারণ নেই। দলীয় অধিনায়ক হিসেবে তিনি তো একাদশে থাকবেনই, সে ব্যাটে রান থাকুক বা না থাকুক। এরপর চার নম্বরে খেলবেন তাওহিদ হৃদয়। হৃদয় প্রথম দুই ম্যাচে রান পাননি, তবে হায়দরাবাদে বাংলাদেশের হয়ে যে কয়জনের ঝড় তোলার সামর্থ্য আছে, তাঁদের মধ্যে হৃদয় অন্যতম। মাহমুদউল্লাহও নিশ্চিতভাবে দলে থাকবেন। ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি নিঃসন্দেহে রাঙাতেও চাইবেন।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে খেলেছিলেন জাকের আলী। দুই ম্যাচে করেছেন যথাক্রমে ৮ ও ১। তাঁর জায়গায় আজ দলে ফিরতে পারেন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান।
আবার বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানও সুযোগ পেতে পারেন। এশিয়ান গেমসে গত বছর দুটি ম্যাচ খেলা এই তরুণ এখনো জাতীয় দলের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলেননি।
কাল অবশ্য বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়েছেন রাকিবুলেই। কে জানে, আজ হয়তো রাকিবুল টি-টোয়েন্টি ক্যাপটি পেয়ে যেতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে ব্যাটিংটা আরও দুর্বল হবে বাংলাদেশের। মেহেদি হাসান মিরাজের জায়গায়ও মোটামুটি নিশ্চিতই বলা যায়। রিশাদ হোসেন তো থাকছেনই।
হায়দরাবাদেও তিন পেসার নিয়ে বাংলাদেশের মাঠে নামার সম্ভাবনা বেশি। তাসকিন আহমেদের সঙ্গে তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানকেই দেখা যেতে পারে। শরীফুল ইসলাম ফিরলে খেলতে পারেন মোস্তাফিজের জায়গায়। তবে যিনিই থাকুন না কেন, রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং–স্বর্গে তাঁকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে।
Publisher & Editor