বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। সেখানেই অবস্থান করেন তিনি। এর পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়। সেই থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে নেটিজেনদের মাঝে চলছে সমালোচনা।
এ নিয়ে শুরু হয়েছে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো। সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, বন্যা, সীমান্ত হত্যাসহ বেশ কিছু ইস্যুতে মাথাচাড়া দিয়েছে এ বিদ্বেষ। এবার দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান।
ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাকিবকে প্রশ্ন করা হয়, ‘বাংলাদেশের সিনেমা থেকে গান দুই দেশের একটা সহজ চলাচল ছিল। সেই সময় এমন পালাবদল। ফেসবুকে ভারতবিদ্বেষী মন্তব্য কী মনে হয়, এভাবে কি সিনেমার শিল্পের উন্নতি সম্ভব?
শাকিব বলেন, ‘বাংলাদেশের ইলিশ মাছ তো ঠিকই যাচ্ছে। আমাদের ক্রিকেটাররা খেলতে যাচ্ছেন, বিভিন্ন কূটনৈতিক আলোচনাও হচ্ছে। প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের পরস্পরের মিলেমিশে থাকা উচিত। তেমনটাই তো দেখছি। কিছু মানুষ এখান থেকে এক কথা বললে, ওখান থেকেও কিছু মানুষ বাংলাদেশ নিয়ে কুমন্তব্য করছেন!
তিনি বলেন, মানুষের আবেগের জায়গা থেকে মতামতের একটা বিভেদ থাকতে পারে। আর সম্পর্ক থাকলে ভাঙাগড়া থাকেই। কিছু দিন পর আবার ঠিক হয়ে যায়। এ অভিনেতা বলেন, এসব নিয়ে আমি একদমই চিন্তিত নই। দুই দেশের নীতিনির্ধারকরা সমস্যা থাকলে তার সমাধান খুঁজে বের করবেন। আমি মনে করি, এশিয়ান হিসেবে আমাদের মিলেমিশে থাকা উচিত।
এত বড় একটা পালাবদল অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়েছে, সিনেমা হল ভাঙচুর হয়েছে এবং বড় তারকা হিসেবে আপনি কীভাবে দেখছেন এ পরিস্থিতি— এমন প্রশ্নের উত্তরে শাকিব বলেন, এমন একটা ঘটনার পর সব কিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে সময় লাগে। আমাদের এখানকার একজন শিল্পীর ছবি যখন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেল, তখনই ওখানকার (কলকাতা) একটি আন্দোলনের ফলে মুখ থুবড়ে পড়ল সেটা। সবখানে কমবেশি ওলট-পালট থাকে।
তিনি বলেন, দেশের সংকটে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করবে, আন্দোলন করবে— এটাই স্বাভাবিক। সাধারণ মানুষই অনেক কিছু ভাঙে। আবার তারাই গড়ে! নতুন কিছু এলে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়। তাই সব কিছু আবার যেভাবে গড়ে উঠছে, আমি আশা করছি সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে কাজে মনোযোগী হয়েছেন। আমি আশা করছি, আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি আগের চেয়ে আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, এ মুহূর্তে শাকিব খানের ব্যস্ততা নতুন সিনেমা নিয়ে। এ ছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে এ নায়কের ‘দরদ’। আগামী ১৫ নভেম্বর সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। তুফানের পর আলফা আই, চরকি ও এসভিএফের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন আরও একটি সিনেমায়।
Publisher & Editor