চিড়া-মুড়ি কাছাকাছি ছিল মুদি দোকানে
মাঝরাতে ঠোকাঠুকি শুরু হলো ওখানে।
মুড়ি বলে চিড়াকে
আমি আছি সব দেশে চীন চিলি ইরাকে
ঘুরি দেশ উড়োযান বাস ভ্যান ‘টিরাকে’।
চিড়া বলে মুড়িকে
উড়োযানে উড়বার তুই ফুসকুড়ি কে?
ভাবখানা, দেশে নয় বাড়ি তোর জুরিখে!
মুড়ি বলে চিড়াকে
তুই যদি তামা হোস, ভেবে দ্যাখ হীরা কে?
আমাকে তো চেনে বুশ, হিটলার ও শিরাকে!
চিড়া বলে মুড়িকে
ঘৃণা করি পাতলামি, ফাও বাহাদুরিকে
বাতাসে দাঁড়াই, দ্যাখ ভয়ে আগে উড়ি কে!
মুড়ি বলে চিড়াকে
লোকে তো আমার পাশে মধু আর ঘি রাখে
তোকে দেখে পেতে চায় মিছে মনঃপীড়া কে?
চিড়া বলে মুড়িকে
নিজেদের মাঝে এই কাদা ছোড়াছুড়িকে
চিরতরে দূরে রাখ; দরকার কী জেদে?
বেঁচে কি আছিস ভাই? সাক্ষীটা নিজে দে;
কতকাল! খায় লোকে চিড়া-মুড়ি দুটোকে
রুখে দেবে খাদকের সেই মুখ, মুঠো কে?
কোনো দিন রেগে কেউ বসিয়াছি কি বেঁকে
যাতে করে চোট লাগে মানুষের বিবেকে?
দাঁতে পিষে খাচ্ছেই একাকী বা সপালে
এর থেকে মুক্তি কি জুটবে না কপালে?
মুড়ি বলে চিড়ারে
আফ্রিকা এশিয়ায়, সমতট কী রাঢ়ে
আমাদের এ জীবন ছিঁড়ে ত্যানা ত্যানা রে
আয় মিলে জোট বাঁধি চিড়া-মুড়ি ব্যানারে
সভাপতি পদে তুই, আমি সম্পাদকে
এক হলে নিশ্চিত ভয় পাবে খাদকে!
চ্যাপ্টা ও ভাজা আজ মিলে যাব দু হৃদয়
আমরা যে পিষ খাওয়া চির চিড়া-মুড়িদ্বয়
খাদকের চোখে চোখ রেখে বলি আওয়াজে—
‘পেটটি বেলুন ফুলে’, তবু এত খাওয়া যে!’
Publisher & Editor