কানাডার সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করতে পারবে ভেবে ‘মারাত্মক ভুল’ করেছে ভারত। এমন মন্তব্যই করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডায় ছয়জন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করার দুই দিন পর ট্রুডো গতকাল বুধবার (১৭ অক্টোবর) এই মন্তব্য করেন।
কানাডায় ‘স্বাধীন খালিস্তান’ পন্থি এক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে খুনের সঙ্গে ওই ছয় কূটনীতিকের সম্পর্ক ছিল বলে অটোয়ার অভিযোগ।
এ ছাড়া তারা কানাডায় ভারতীয় ভিন্নমতালম্বীদের নিশানা করার একটি বিস্তৃত প্রচেষ্টার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত এক বছর ধরে নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ঘিরে ভারতের সঙ্গে কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন এক তলানীতে নেমেছে। এই পুরো সময়ে এবারই প্রথম ট্রুডো বিষয়টি নিয়ে এমন কড়া মন্তব্য করায় সম্পর্ক আরো তলানীতে নামল।
কানাডার রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপের তদন্তে ট্রুডো বলেন, ‘ভারত সরকার কানাডার নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বে আগ্রাসীভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে, এ ধরনের চিন্তা একটি মারাত্বক ভুল।
জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই লাইনের এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘ট্রুডোর জবানবন্দিতে নয়া দিল্লির অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে যে, ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কানাডা কোনো প্রমাণ দেয়নি।’
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘এই দাম্ভিক আচরণ ভারত-কানাডা সম্পর্কের যে ক্ষতি করেছে, তার দায়ভার একাই প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর ওপর বর্তায়।’
ট্রুডো বলেছিলেন, অটোয়া কানাডিয়ানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরো পদক্ষেপ নিতে পারে।
কিন্তু আর বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। ভারত কানাডার সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং পাল্টা জবাবে ভারতও কানাডার ছয়জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। সূত্র : রয়টার্স
Publisher & Editor