যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আনন্দ ও উৎসব উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘নীলাচল সার্বজনীন শারদ উৎসব ২০২৪’। আলেকজান্দ্রিয়ার গ্লাসগো মিডল স্কুলের আউটডিটরিয়ামে শনিবার (১২ অক্টোবর) দশম বারের মত আয়োজিত এ পূজার থিম ছিল ‘সংকল্প ও সংস্কৃতি’।
পূজার প্রাঙ্গণ ও মন্ডপে ছিল সবধর্ম ও বর্ণের হাজারো মানুষের সমাগম। ‘শ্বাপদ সংকূল পৃথিবীতে সব অশুভ শক্তি দূর করে মা যেন সকলের জীবনে সুখ শান্তির নহর বইয়ে দেন’- এমন প্রার্থনা করা হয় দুর্গাদেবীর কাছে।
দৃষ্টি নন্দন মায়ের মন্ডপ, মঞ্চ, আলোক সজ্জা এবং বর্নাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল উপভোগ্য। পূজায় পুরোহিত্য করেন ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রাক্তন পুরোহিত রণজিত চক্রবর্তী। দুপুরে পুষ্পাঞ্জলি ও সন্ধ্যা আরতির পর বিতরণ হয় মহাপ্রসাদ (ইসকন)। বিকাল চারটায় শুয় হয় বর্নাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নীলাচল পূজা পরিবারের নুতন প্রজন্মের পরিবেশনা ছিল বারাবরের মতই অনবদ্য। মায়ের আবাহন ও আগমনীতে উদ্বোধনীতে অংশ নেন নীলাচল পূজা পরিবারের সদস্যরা। মাতৃবন্দনা, শাস্ত্রীয় সংগীত, পুজাপর্বের গান, কত্থক, বলিউড, টালিউড, ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় গানে নাচের কোন কমতি ছিল না। সব বয়সের সবার জন্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় উপস্থাপনায় ছিলেন সোমা হালদার ও শুভ রায়।
ছোট্টমনি প্রনয়ী ‘মহাদেব শিব শম্ভু’ প্রলয় নৃত্যাভিনয় ছিল নজরকারা। গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করে ওঁম ও সোহম নাগ। দুর্গা আরাধ্য নৃত্য পরিবেশন করে প্রিয়া, পূর্নতা, স্নেহা ও আয়ূশী। ঢাকাই চলচ্চিত্রের হাল ফ্যাশনের চটুল গানের সঙ্গে নুতন প্রজন্ম সব দর্শকের মন জুরিয়ে দেয় অস্কার-নিশি-নোরা। মুহুর্মূহু করতালিতে হল মুখরিত হয়ে উঠে। নুতন প্রজন্মের পরিবেশনা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।
কনটেম্পরারী নাচে নুতন এক ধাপে উন্নীত হয় নীলাচলের নৃত্যশিল্পী পুনম-পায়েল-মিথি। সংগীত পরিবেশনায় ছিলেন রুমা ভৌমিক, সাহানা ভট্টাচার্য, মনোজ দাশ, হ্যাপী দেবনাথ, শ্রেয়া রাত ও সুব্রত বাইন। একক নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন স্বপ্না শর্মা ও কেয়া কর। ডিএমভির স্বনামধন্য ‘মুদ্রা পারফর্মিং আর্টস’-এর পরিবেশনা ছিল অতুলনীয়। শাস্ত্রীয় সংগীতের সঙ্গে দেহ পল্লবীর নাচ অনন্য অনুভূতি।
বিশেষ পরিবেশনায় ছিলেন ‘ইন্ডিয়ান আইডল-২০২৩’ সুপার সিঙ্গার সেজুতি দাস। ঘন্টাখানেক এক নাগাড়ে নাচে-গানে ভরিয়ে তুলেন পূজা প্রাঙ্গন। সোনায় সোহাগা প্রিয় সিঁদুর খেলায় উপস্থিত ছিলেন টালিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার’। সংগঠনের সভাপতি প্রাণেশ হালদার সমাপনী বক্তব্য দেন।
Publisher & Editor