বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

শুরুতেই অভিবাসী তাড়াতে বিভিন্ন সংস্থাকে কাজে লাগাবেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ১৩:১১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪ |

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যাপক হারে অভিবাসী তাড়াতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে কাজে লাগানোর কাজ শুরু করতে পারেন দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ কাজে সহযোগিতার জন্য তিনি বিচার বিভাগকেও চাপ দিতে পারেন। ট্রাম্পের সাবেক ছয় কর্মকর্তা ও মিত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় দাবি করার পর সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে একটি অভূতপূর্ব এবং শক্তিশালী জনরায় দিয়েছে।

ট্রাম্পকে সমর্থন দেওয়া ব্যক্তি, যাঁরা তাঁর প্রশাসনে যুক্ত হতে পারেন তাঁদের ধারণা হচ্ছে, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে রিপাবলিকান পার্টির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সামরিক বাহিনী থেকে শুরু করে বিদেশি কূটনীতিক পর্যন্ত সবাইকে ডেকে অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে বলতে পারেন। এ কাজে রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন অঙ্গরাজ্যগুলোর নেতাদের সহযোগিতা নিতে পারেন। এমনকি যেসব রাজ্যে আইনি বিধিনিষেধ আছে, সেখানকার তহবিল বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপও নিতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে অভিবাসনবিরোধী কড়া বক্তব্য দিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। তাঁর প্রতিশ্রুতির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ব্যাপকসংখ্যক অভিবাসীকে বের করে দেওয়ার বিষয়টি। ট্রাম্পের রানিং মেট জে ডি ভ্যান্সের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর ১০ লাখ অভিবাসীকে বের করে দেওয়া হতে পারে।

অভিবাসী নিয়ে কাজ করা আইনজীবীরা বলছেন, ট্রাম্পের অভিবাসী বিতাড়নের চেষ্টা ব্যয়বহুল, বিভাজন সৃষ্টিকারী ও অমানবিক হয়ে উঠতে পারে। এতে অনেক পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।

ট্রাম্পকে এর আগের মেয়াদে ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অভিবাসী বিতাড়ন প্রক্রিয়া চালানোর অনেকটা সংগ্রাম করতে হয়েছিল। মেক্সিকো সীমান্তের কর্মকর্তাদের হিসাবে, ট্রাম্পের আমলের চেয়ে বাইডেনের আমলে বেশি অভিবাসী বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ট্রাম্পকে তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হলে আরও আটঘাট বেঁধে নামতে হবে।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বলছেন, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের তুলনায় এবারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এমন একটি জায়গা হতে পারে, যেখানে আরও আগ্রাসী ভূমিকা দেখা যেতে পারে।  তবে এ ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হচ্ছে, অন্য দেশ বিতাড়িত অভিবাসী গ্রহণ করবে কি না, সে বিষয়। প্রথম মেয়াদে এ বিষয়ে বড় বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসনকে।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor