মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ত্বকের যত্নে যে উপাদান ব্যবহার করেন রাভিনা টেন্ডন

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩

হাতের যত্ন নিতে কেউ অলিভ অয়েল মাখেন, আবার কেউ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। কিন্তু বাড়ির বড়রা সবসময়েই বলেন, নারিকেল তেল মালিশ করলে হাত ও পায়ের চামড়া নরম এবং টানটান থাকবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ে বলিউড অভিনেত্রী রাভিনা টেন্ডন কী বলেন।

আপনি দিনের বেশিভাগ সময় অফিসে বা এসি ঘরে বসেই কাটান। ফলে আর্দ্রতার অভাবে হাত শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং খসখসে হয়ে যায়। আপনার হাতের ত্বকের চামড়া ফেটে চৌচির হয়ে যায়। আর যদি শীতকাল হয়, তাহলে তো কোথাই নেই। 

শীতকাল এলে আপনার ত্বকের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। শীতকালে যতই গরম পোশাকে নিজেকে জড়িয়ে রাখুন না কেন, হাত-পা মোটেও রেহাই পায় না ঠান্ডার প্রকোপ থেকে। অনেকের হাতের ত্বকের চামড়াও ফেটে লাল হয়ে যায়। তা হলে কেমন যত্ন নিলে শীতেও হাত হয়ে উঠবে কোমল, তা জেনে নিন।

আপনি হাতের যত্ন নিতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন। অন্য কেউ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। বলিউড অভিনেত্রী রাভিনা টেন্ডন তিনি কি ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে আমরা তার মুখ থেকেই শুনব।

এ অভিনেত্রী তার হাতের যত্ন নিতে বিশেষ একরকম প্যাক ব্যবহার করে থাকেন। মাত্র দুটি ঘরোয়া উপকরণ দিয়েই তিনি তৈরি করেন নেন হাতের জন্য বিশেষ ওই প্যাক। নিয়মিত গোসলের আগে ও রাতে শোবারঘরে যাওয়ার আগে হাতে মালিশ করেন। আর তাতেই তার হাত কোমল ও চকচকে থাকে।

কী কী ব্যবহার করেন রাভিনা—

অভিনেত্রী জানিয়েছেন, অলিভ অয়েল ও সামান্য লবণ দিয়েই হাতের পরিচর্যা করেন তিনি। দুই থেকে তিন চামচ অলিভ তেলের মধ্যে এক চামচ লবণ মেশাতে হবে। এই তেল ভালো করে দুই হাতে মালিশ করতে হবে ১৫ মিনিট। কিছুক্ষণ রেখে তারপর উষ্ণ পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।

অলিভ অয়েলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ই-র মতো উপকারী সব উপাদান। ত্বক ভেতর থেকে মসৃণ রাখে বলে অনেকেই শীতকালে ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করেন এই তেল। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে এই তেলের জুড়ি মেলা ভার। অলিভ অয়েলে লবণ মেশালে সেটি প্রাকৃতিক স্ক্রাবারের কাজ করবে। হাতের মৃত কোষ তুলে নরম ও মসৃণ রাখবে। ত্বকে দাগছোপ থাকলে তা-ও উঠে যাবে।

তবে অলিভ অয়েলে লবণ মিশিয়ে হাতে মালিশ করার আগে সামান্য একটু লাগিয়ে দেখে নেবেন কোনো রকম অ্যালার্জি হচ্ছে কিনা। ত্বক খুব স্পর্শকাতর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ব্যবহার করা ভালো। 

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor