বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

অভিষেকের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চান ট্রাম্প

প্রকাশিত: ২২:২৩, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬

নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিষেকের আগেই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করতে চান। এ তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম।

চলতি সপ্তাহে ইসরাইল সফরকারী গ্রাহাম যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মিডিয়া আউটলেট অ্যাক্সিয়সকে বলেন, ‌'পণবন্দীদের মুক্তি এবং পণবন্দী চুক্তিসহ একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে ট্রাম্প আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি বদ্ধপরিকর।'

গ্রাহাম বলেন, 'তিনি চান, এখনই যেন তা ঘটে। আমি চাই ইসরাইল এবং এই অঞ্চলের লোকজন জানুক যে ট্রাম্প পণবন্দী ইস্যুর দিকে নজর দিয়েছেন। তিনি হত্যা বন্ধ করতে চান, যুদ্ধের অবসান চান।'

গ্রাহাম বলেন, ট্রাম্প যাতে ইসরাইল-সৌদি স্বাভাবিকরণ এবং ইরানের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক সামরিক জোট গড়ার দিকে নজর দিতে পারেন, তার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে একটি যুদ্ধবিরতি চাচ্ছেন।

২ গাজা যুদ্ধের সংবাদদাতা পুরস্কৃত

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নৃশংস যুদ্ধের ‘শক্তিশালী’ ভিডিও কভারেজের জন্য বৃহস্পতিবার ‘ররি পেক’ পুরস্কার জিতেছেন গাজায় এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেসের (এএফপি) সংবাদদাতা বেলাল আল-সাব্বাগ ও ইউসেফ হাসসুনা।

ফ্রিল্যান্স ভিডিও সাংবাদিকদের কাজ তুলে ধরার জন্য আইরিশ ভিডিও সাংবাদিক ‘ররি পেক’ (১৯৫৬-১৯৯৩)-এর স্মরণে ১৯৯৫ সাল থেকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। ১৯৯৩ সালের রাশিয়ান সাংবিধানিক সংকট কভার করার সময় মস্কোর এক টিভি সেন্টারের বাইরে ররিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

৭ অক্টোবরের হামাসের হামলা ও ইসরাইলের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার পর, এএফপির সবচেয়ে অভিজ্ঞ বেলাল আল-সাব্বাগ (৩৩) এবং এএফপির জন্য অবদান রাখা ফ্রিল্যান্সার ইউসেফ হাসসুনাকে (৪৭) যুদ্ধের চিত্র সংগ্রহের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে।

পুরস্কারের জুরি তাদের প্রশংসা করে বলেন, ‘তাদের ড্রোন শটগুলোতে অবিরাম আক্রমণে ধ্বংসের ভয়ঙ্কর মাত্রা অনুধাবন করতে পেরেছি। হৃদয় বিদারক ভিডিও চিত্রের একটিতে হামলার পরে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে এক আত্মীয়কে মরিয়াভাবে খুঁজতে দেখা যায়, আরেকটিতে হাসপাতালে এক লাশের জন্য শোকে এক নারীকে কাঁদতে দেখা যায়। আরেক দৃশ্যে গাজার বাসিন্দাদের খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।’

আল-সাব্বাগ এপ্রিলে তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে গাজা ছাড়েন। তিনি অনুষ্ঠানের জন্য লন্ডনে ছিলেন। সেপ্টেম্বরে তিনি যুদ্ধ সংবাদদাতাদের এক মর্যাদাপূর্ণ ‘বেইয়া ক্যালভাডোস’ পুরস্কারে ভূষিত হন।

২০১৭ সাল থেকে এএফপির জন্য কাজ করছেন বেলাল আল-সাব্বাগ।

তিনি বলেন, ‘আজ রাতে আমার উল্লসিত আনন্দ সত্ত্বেও, আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত কারণ আমার পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা এখনো গাজায় রয়েছে। যারা এখোনো ক্ষুধা, ভয় ও বোমার মুখোমুখি রয়েছে।’

হাসসুনা, ২০১৪ সাল থেকে এএফপির জন্য অবদান রেখে আসছেন। তিনি এখনো গাজায় অবস্থান করছেন। তিনি যুদ্ধের সময় এএফপির জন্য কাজ করা প্রধান ফ্রিল্যান্স ভিডিও সাংবাদিকদের একজন।

এএফপির গ্লোবাল নিউজ ডিরেক্টর ফিল চেটউইন্ড বলেন, ‘এএফপির প্রত্যেকেই বেলাল এবং গাজায় তার সহ-কর্মীদের কাজের জন্য অত্যন্ত গর্বিত। আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব পরিস্থিতিতে তার চমৎকার সাংবাদিকতার জন্য এই পুরস্কার তার একটি প্রাপ্য প্রতিদান।’

২০১৪ সালের পর ষষ্ঠবারের মতো একজন এএফপি সংবাদদাতা ররি পেক পুরস্কার জিতলেন।

এই বছরের তিনজন ফাইনালিস্টের মধ্যে ছিলেন হাইতিতে সশস্ত্র গ্যাংয়ের গুলি চালানোর দৃশ্য কভারের জন্য নিয়োজিত এএফপির ফ্রিল্যান্সার লুকেনসন জিন।

সূত্র : আল জাজিরা ও এএফপি

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor