সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে ঘরে ফিরে অ্যাকুয়ারিয়ামে ছোট্ট রঙিন মাছদের সাঁতার দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। ছোট শিশুরাও মাছের এই ছোটাছুটি দেখতে ভালোবাসে। অনেকেই তাই শখ করে অ্যাকুয়ারিয়ামে মাছ পালেন। পাথরকুচি, কৃত্রিম গাছ, লাইট ও শোপিস দিয়ে সাজান অ্যাকুয়ারিয়াম। অ্যাকুয়ারিয়ামে মাছকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত যত্ন, নিয়ম করে খাবার দেওয়া, নির্দিষ্ট সময় পরপর পানি বদলে দেওয়া ইত্যাদি।
শীতে অ্যাকুয়ারিয়ামের মাছের চাই বাড়তি আরও কিছু যত্ন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ব্যবস্থাপনা অনুষদের অধ্যাপক ড. সালেহা খানের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক ঠান্ডায় অ্যাকুয়ারিয়ামের মাছের যত্ন নেওয়ার উপায়।
অ্যাকুয়ারিয়ামের পানির একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ধরে রাখতে হবে। অ্যাকুয়ারিয়ামের পানির তাপমাত্রা ঠিক রাখতে হিটার ব্যবহার করুন। বাজারে নানা আকারের হিটার পাওয়া যায়। তবে হিটার কেনার সময় অ্যাকুয়ারিয়ামের পানির পরিমাণ বিবেচনায় রাখুন।
অ্যাকুয়ারিয়ামের মাছ সাধারণত ঘরের একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় থাকতে অভ্যস্ত। তাই শীতকাল হোক কিংবা গ্রীষ্মকাল, কখনোই অ্যাকুয়ারিয়াম বাইরের আবহাওয়ায় রাখবেন না। শীতকালে যদি অ্যাকুয়ারিয়ামের পাশে কোনো জানালা থেকে ঠান্ডা বাতাস আসে, তাহলে সেই জানালা বন্ধ করে রাখুন।
কম তাপমাত্রা যেমন মাছের জন্য ভালো নয়, ঠিক তেমনি বেশি তাপমাত্রাও মাছের জন্য ক্ষতিকর। থার্মোমিটার ব্যবহার করে অ্যাকুয়ারিয়ামের পানির তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন।
হঠাৎ করে অ্যাকুয়ারিয়ামের পানি পরিবর্তন করা হলে মাছের খাপ খাওয়াতে অসুবিধা হতে পারে। তাই অ্যাকুয়ারিয়ামের সম্পূর্ণ পানি একসঙ্গে পরিবর্তন না করে কয়েক দিন ধরে অল্প অল্প করে পরিবর্তন করুন।
শীতে হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনের জন্য মাছের দেহে ছত্রাকজনিত রোগ হতে পারে। রোগ থেকে বাঁচতে অ্যাকুয়ারিয়ামের মাছের প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার। মাছের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে হিমায়িত খাবার খাওয়াতে পারেন। তবে অতিরিক্ত খাবার মাছের বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই অ্যাকুয়ারিয়ামের মাছকে দিনে একবার খেতে দিন।
Publisher & Editor