ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সঙ্গীতশিল্পী জিনাত সানু স্বাগতা। বছরের শুরুতে প্রেমিক ও বন্ধু হাসান আজাদের সঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্বাগতা নিজেই জানালেন, বিয়ের আগে হাসানের সঙ্গে ১ বছর লিভ টুগেদারে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের।
স্বাগতার স্বামীর পুরো নাম ড. হাসান আজাদ। তিনি লন্ডন প্রবাসী। তার জন্ম ও পড়ালেখা সবই যুক্তরাজ্যে। সংগীত জগতের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তিনি। ড. হাসান একাধারে গান লেখেন, সুর ও মিউজিক কম্পোজ করেন। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করা হাসান পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন লিভ টুগেদার করেছি, আমাদের দু’জনের বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা ছিল না। এমনকি আমার ভাই-বোনও বলেছে, কেউ যুক্তরাজ্যে থেকে আসলো, তুমি বিয়ে করে ফেললা, এরপর জীবনটা শেষ হয়ে গেল...তার চেয়ে ভালো একসঙ্গে থেকে দেখো, সারাজীবন থাকতে পারবে নাকি। তারপর সিদ্ধান্ত নিও।’
স্বাগতা আরও বলেন, ‘সমাজও আমাদের বিষয়টা মেনে নিয়েছে। প্রথমে একটু সময় নিয়েছে কিন্তু পরে বিষয়টা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমি মনে করি, আমাদের সমাজও পরিবর্তন হচ্ছে। ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে’।
এর আগে স্বাগতা বলেন, ‘গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে একদিন এক বান্ধবীর সাথে রাজধানীর একটি ক্লাবে যান তিনি। সেখানেই হাসান আজাদের সাথে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের পর অনেকদিন দেখা হয়নি তাদের। তবে নভেম্বরে আবার তাদের দেখা হয়। সে সময় হাসান আজাদ আমাকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি আমাকে পছন্দ করেন। এরপরেই কথা বলে আমরা সিদ্ধান্ত নেই একসাথে হওয়ার।’
স্বাগতা একাধারে অভিনয়শিল্পী, উপস্থাপিকা ও গায়িকা। অন্যদিকে হাসানও একজন আর্টিস্ট, পাশাপাশি গানও করেন। স্বাগতার সব কাজকেই অ্যাপ্রিশিয়েট করেন হাসান। স্বাগতার ভাষায়, ‘আমার কাজকে হাসান সবসময় সাপোর্ট করে, এই বিষয়টি আমার মন ছুঁয়ে যায়।’
স্বাগতা বলেন, ‘সব মিলিয়ে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এক হওয়ার। ভেবেছি আমাদের বোঝাপড়া ঠিকঠাক। একসঙ্গে বাকি জীবন পার করা যায়। সবাই আমাদের জন্য শুভকামনা রাখবেন।’
এর আগে স্বাগতা সাত বছর প্রেমের পর বিয়ে করেছিলেন চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামানকে। ছয় বছর সংসারের পর ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা।
Publisher & Editor