মা আমার জন্য অনেক ধরনের নাশতা বানায়—কেক, বিস্কুট, ডোনাট ইত্যাদি। মা অফিস থেকে আসার সময় প্রায়ই পুরি নিয়ে আসে। এক দিন মাকে জিজ্ঞেস করি, মা, আমি কি পুরি খেতে পারি? কিন্তু মা বলে, না, তুমি খেতে পারবে না। কারণ পুরি বাইরের খাবার।
পরে মা ভাবল বাসায়ই পুরি বানাবে। সেদিন শনিবার। যখন আমার বিকেলের পড়া শেষ, মা বলে, আজ পুরি বানাবে আমার জন্য। আমি তখন মাকে এটা-সেটা এগিয়ে দিতে লাগলাম আর দেখতে লাগলাম, মা কিভাবে পুরি বানায়। বললাম, মা, আগের মতো পুরির ভেতরটা ফাঁকা রাখবা না। মা যখন পুরি বানাচ্ছিল, রুটির ভেতরটা ডালে ভরিয়ে দিল। তারপর মোমোর মতো তৈরি করে রুটিটা চ্যাপ্টা করল। একসময় মাকে বলললাম, আমিও তোমাকে সাহায্য করি।
পরে আবার আমি একা একা বানাতে চাইলাম। আমি তৈরি করার পর ছোট ভাই আফসানও করতে চাইল, মা তাকেও করতে দিল। কিন্তু সে ঠিকমতো পারল না। কারণ ও তো ছোট। পুরি তৈরি হলে ভাজার পালা।
ভাজা শেষে সবার যখন পুরি খাওয়া শেষ, তখন মা বলে, মা নাকি রামেন খাওয়াবে। রামেন আমদের খুব পছন্দ। কারণ এগুলো নুডলসের মতো মোটা এবং দেখতে অনেক সুন্দর। রামেনের জন্য মা প্রথমেই মাংস সিদ্ধ করে তারপর সেগুলো ছোট ছোট করে কেটে একটি বাটিতে রাখে। পরে যখন মা আমার দিকে তাকায়, আমি তখন হেসে দিই। মা সন্দেহ করে বলে, তুমি কি মাংস খেয়েছ? আমি বলি, না মা, এক টুকরাও খাইনি। এরপর মা আমাকে আর কোনো প্রশ্ন করেনি। কারণ মা জানে আমি কখনো মিথ্যা বলি না। মা নুডলস সিদ্ধ করে একটি বাটিতে রাখে। এরপর সিদ্ধ নুডলস, মাংসের টুকরা, মাশরুম এবং সিদ্ধ ডিম কেটে বাটিতে দেয়। ঝোল অনেকটা স্যুপের মতো এবং রংটা লালচে হয়।
এরপর বাবাসহ সবাই মিলে গরম গরম রামেন খাই। রামেন খাওয়ার পর রাতে আর কোনো খাবার খাইনি। মা, তোমাকে ধন্যবাদ, অনেক ভালোবাসি তোমায়।
Publisher & Editor