বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আমরা যেন ভুলে না যাই

প্রকাশিত: ০০:২২, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৭

১৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে অগণিত শহীদের রক্তের বিনিময়ে এবং হাজারো মানুষের আত্মত্যাগের কাছে মাথা নত করে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা। সেই দিন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) প্রায় ৯১ হাজার সদস্য নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

অবসান ঘটে দীর্ঘদিনের শোষণ, নিপীড়ন ও নির্যাতনের। সেদিন থেকে আমরা বাংলাদেশি।
এই দিনটিকে বিশেষভাবে স্মরণ ও শ্রদ্ধা করে বাংলাদেশের মানুষ। দেশের সর্বত্র পালন করা হয় ‘বিজয় দিবস’।

১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে দিনটিকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। সরকারিভাবে ছুটিও ঘোষণা করা হয়।
এ উপলক্ষে প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা ঘটে। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন।

কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন দেশপ্রধান। এই কুচকাওয়াজ দেখার জন্য বিপুলসংখ্যক মানুষ জমায়েত হয়, যদিও নানা কারণে এ বছর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না বলে জেনেছি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতিসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, জাতীয় সংগীত এবং অন্যান্য দেশাত্মবোধক গান গাওয়া, বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া দেশের সর্বত্র এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশিরা যেখানেই আছে, সেখানেই দিবসটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করে।

প্রতিবছরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনটি আমাদের কাছে উৎসবে পরিণত হয়েছে। দিনটি আমাদের জন্য অবশ্যই অনেক আনন্দের। তবে শুধু আনন্দের মাধ্যমেই যেন আমরা দিনটি পালন না করি। আমরা যেন ভুলে না যাই সেই শহীদদের কথা, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন। যারা আমাদের রক্ষা করেছিলেন অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ ও নির্যাতনের হাত থেকে। তাদের আদর্শ ধারণ করে দেশের সেবা করব এবং দেশকে ভালোবাসব।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor