ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সে দেশে থাকার মেয়াদ বাড়িয়েছে দিল্লি। ভারতের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই মেয়াদ বাড়ানো হয় বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানায় ভারতের সংবাদমাধ্যম।
শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানোর জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনা এবং অন্য অভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হতেও বলা হয়। ভারতের শীর্ষ কূটনৈতিক সূত্রের খবর, এই প্রেক্ষিতেই অতি সম্প্রতি শেখ হাসিনার ভারতে থাকার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়িয়েছে মোদি সরকার।
তবে দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি ‘কূটনৈতিক’ নয়, ‘আইনি’। কোনো অন্তর্বর্তী সরকার অন্য রাষ্ট্রের স্থায়ী সরকারের কাছে কোনো রাজনৈতিক নেতার প্রত্যর্পণ চাইলে, তার সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেই জানায় বিদেশ মন্ত্রক সূত্র। ফলে, শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশের পাঠানো কূটনৈতিক বার্তার (নোট ভার্বাল) উত্তর অবশ্যই দেওয়া হবে ‘যথাসময়ে’। কিন্তু তার জন্য কোনো তাড়াহুড়ো করা হবে না।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বার্তার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে জবাব দিতে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। আর সে কারণেই হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লির ‘ফরেন রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের’ (এফআরআরও) মাধ্যমে আবেদন করিয়ে ভারতে থাকার কাগজ বৈধ করে নেওয়া হয়েছে। ইঙ্গিত স্পষ্ট, এখনই হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কোনো প্রশ্নই উঠছে না।
ভারতে কোনো উদ্বাস্তু সংক্রান্ত আইন না থাকায় এফআরআরও-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিক হাসিনাকে ভারতে বসবাসের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। তবে কতদিনের জন্য এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আনন্দবাজার জানায়, শুধু একটি ‘নোট ভার্বাল’ দিয়েই দিল্লির কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে ঢাকা। সাউথ ব্লকের একটি সূত্রের বক্তব্য, এই দাবিকে পোক্ত করতে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এই ধরনের প্রত্যর্পণের দাবির প্রেক্ষিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আইনি দিক থাকে। দিল্লির দাবি, সেই খুঁটিনাটির দিকে নজর দেওয়া হয়নি।
Publisher & Editor