বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সাব্বির ঝড়েও জেতাতে পারল না ঢাকাকে

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭

বিপিএলের এবারের আসরে প্রথমবারের মতো ব্যাটে ঝড় তুললেন সাব্বির রহমান। মাত্র ৩৩ বলে করলেন ৮২ রান। যে ইনিংসে ৯ ছক্কার বিপরীতে ছিল মাত্র ১টি চার। তারপরও জয় এনে দিতে পারেননি টানা হারতে থাকা ঢাকাকে। 

ঢাকার ৫ উইকেটে ১৭৭ রান তিন বল বাকি থাকতেই টপকে গেছে চিটাগং কিংস। সেটিও মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে। টুর্নামেন্টে ঢাকার টানা পঞ্চম হার। অন্যদিকে ৩ ম্যাচে এটি চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়।

সাব্বিরের শুরুটা আজও ছিল নড়বড়ে। প্রথম ৯ বলে করেছিলেন ৪ রান। এরপর শরীফুলকে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছয় মারার পর আর হাত গোটাননি। আরাফাত সানির ১ ওভার থেকে ৩ ছক্কা ও ১ চারে নিয়েছেন ২২ রান, টানা দুই ছক্কা মেরেছেন আলিস আল ইসলাম, মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলেও।

২২ বলে ফিফটি পূর্ণ করা সাব্বির নিজের ২৪ বলেই নিয়েছেন ৭৮ রান। তাঁর ৯ ছক্কা বিপিএলে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে এক ইনিংসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে সাব্বিরই ২০১৬ বিপিএলে রাজশাহীর হয়ে বরিশালের বিপক্ষে ১২২ রান করার পথে ৯ ছক্কা মেরেছিলেন (তামিম ইকবাল ১১ ছক্কা মেরেছিলেন ২০১৯ আসরের ফাইনালে)।

ঢাকা ক্যাপিটালসের ইনিংসে সাব্বিরের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮ বলে ৫৪ রান করেন ওপেনার তানজিদ হাসান। তাতেই মূলত ঢাকা ক্যাপিটালস তুলতে পেরেছিল ১৭৭ রান, যা এবারের টুর্নামেন্টে তাদের সর্বোচ্চ। ঢাকার বোলিং লাইনআপের যে অবস্থা তাতে এই রান ডিফেন্ড করা কঠিনই ছিল। কারণ এই দলে মোস্তাফিজুর রহমান ও মুকিদুল ইসলাম ছাড়া ওই অর্থে ভরসা করার মতো বোলার নেই বললেই চলে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে শিশির। বল হাতে শুরু করেছিলেন মুকিদুল ও মোস্তাফিজ। ঢাকার ভাবনা ছিল শুরুতেই চট্টগ্রামকে চাপে ফেলা।

তবে প্রথম ৬ ওভারেই চট্টগ্রামের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ও উসমান খান তোলেন ৫৫ রান। এরপর শুধু বাকিরা রান তোলার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। পারভেজ আউট হন ১৭ রান করে। ২৫ বলে ফিফটি করা উসমান খেলেছেন ৩৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। এরপর বাকি কাজটা করেছেন গ্রাহাম ক্লার্ক, মোহাম্মদ মিঠুন ও শামীম হোসেন। ৩৯ রান করেছেন ক্লার্ক। মিঠুন অপরাজিত ছিলেন ৩৩ রানে, শামীম ১৪ বলে ৩০ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা ক্যাপিটালস: ১৭৭/৫( সাব্বির ৮২*, তানজিদ ৫৪; খালেদ ৩/২১, আলিস ১/২৫)

চিটাগং কিংস: ১৮০/৩( উসমান ৫৫, ক্লার্ক ৩৯; ফারমানউল্লাহ ১/৩০, মোস্তাফিজুর ১/২৩)

ফল: চিটাগং ৭ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা: খালিদ আহমেদ

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor