১৯৬৮ সাল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে থ্রিএম কম্পানিতে সিনিয়র কেমিস্ট হিসেবে কাজ করতেন স্পেন্সার সিলভার। তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় শক্তিশালী আঠা বানানোর, বিমান বানাতে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু স্পেন্সার করে বসলেন উল্টো কাজ।
এমন এক আঠা বানালেন, যেটা দিয়ে আর কিছু নয়, কেবল কাগজই সেঁটে থাকে। তা-ও এমনই দুর্বলভাবে যে না ছিঁড়েও টেনে খুলে নেওয়া যায়। মজার ব্যাপার হলো, খুলে নিয়ে সে কাগজ আবারও লাগিয়ে দেওয়া যায়। এমন দুর্বল আঠা কি কোনো কাজে আসবে? তবু নতুন আবিষ্কার বলে কথা।
১৯৭২ সালে সেটার পেটেন্ট করানো হয়। আরো দুই বছর পরের কথা। স্পেন্সারের কম্পানিতেই কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন আর্থার ফ্রাই। তিনি গির্জায় বন্দনাও গাইতেন।
বইয়ের কোন পাতায় কোন গান আছে, সেটা বুকমার্ক দিয়ে চিহ্নিত করে রাখতেন। কিন্তু গোল বাধত গাওয়ার সময়। দাঁড়িয়ে বই সামনে মেলে ধরতেই সব বুকমার্ক পড়ে যেত। এর সমাধান খুঁজতে খুঁজতে তিনি স্পেন্সারের আঠার ব্যবহার পেয়ে গেলেন। অফিসে তার পাশের কামরায় অনেক হলুদ কাগজ বেকার পড়ে ছিল।
সেগুলোতে স্পেন্সারের আঠা লাগিয়ে বানিয়ে ফেলেন স্টিকি নোট। ১৯৭৭ সালে প্রথম বাজারে ছাড়া হয় ‘প্রেস এন পিল’ নামে। তখন খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। তবে ১৯৮০ সালে ‘পোস্ট ইট নোট’ নামে বাজারে ছাড়লে সাড়া পড়ে যায়। ১৯৯৩ সালে এর পেটেন্ট করান আর্থার।
Publisher & Editor