আইপিএলে এর আগে তিনবার ডাক পেয়েও খেলতে পারেননি। জাতীয় দলের ব্যস্ততা ও স্বাস্থ্যগত কারণে বিসিবির ছাড়পত্র পাননি। এবার পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ড্রাফটেও ছিলেন। আশা ছিল কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়তো কিনবে; কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটিও হলো না। তাসকিন আহমেদ কি সে জন্য হতাশ? আজ বিপিএলে চিটাগং কিংসের কাছে ১১১ রানে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে কথা বলেন দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক তাসকিন।
তাসকিনের পিএসএলে দল না পাওয়ার প্রসঙ্গটি উঠেছে একটি পটভূমির জন্য। দুর্বার রাজশাহীর কোচের দায়িত্বে থাকা পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান ইজাজ আহমেদ এর আগে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাসকিনকে নিয়ে লাহোর কালান্দার্সের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি নাকি তাঁকে পছন্দ করেছে এবং বিপিএলে তাসকিন কেমন করেন সেটাও তারা দেখবে।
গত সোমবার পিএসএলের ড্রাফটে বাংলাদেশ থেকে দল পান তিন ক্রিকেটার—নাহিদ রানাকে নিয়েছে পেশোয়ার জালমি, লিটন দাসকে করাচি কিংস এবং রিশাদ হোসেনকে নিয়েছে লাহোর কালান্দার্স। তাসকিনের নাম ড্রাফটে থাকলেও তাঁকে কিনতে আগ্রহ দেখায়নি পিএসএলের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।
তাসকিন এ নিয়ে হতাশ কি না, জানতে চাইলে বলেছেন, ‘হতাশার কী আছে? সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমি যদি নিজের দেশকে ভালোমতো সেবা দিতে পারি, যেখানেই খেলি, যদি ভালো করতে পারি, সুযোগ অনেক আসবে। এর আগে তো তিনবার আইপিএলে সুযোগ পেয়েও যেতে পারিনি। হতাশাজনক হলে তো এত দিনে গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাওয়ার কথা। আমি একদমই হতাশ নই।’
তবে তাসকিন কিন্তু এবারের পিএসএল নিয়েও আশা ছাড়েননি। শুনুন তাঁর মুখেই, ‘আসলে যেহেতু ড্রাফটে দল পাইনি, কারও বদলি হিসেবে প্রয়োজন পড়লে নিতেও পারে। পিএসএলের ক্ষেত্রেও একই বিষয়। ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে কারও কথা হয়নি।’
বিপিএলে আজই প্রথম দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন তাসকিন। আগের অধিনায়ক এনামুল হককে সরিয়ে তাসকিনকে দায়িত্ব দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এ নিয়ে তাসকিন বলেছেন, ‘মালিক ও ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। (এনামুল হক) বিজয় ভাইয়ের সঙ্গে তো অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে খেলছি। উনাদের সঙ্গে বিজয় ভাইয়েরও কথা হয়েছে। সবাই মিলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
Publisher & Editor