মৌসুমের শুরু থেকে ধুঁকতে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি যে দলবদলে খেলোয়াড় কেনার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে, তা জানাই ছিল। সেই ধারাতেই জানুয়ারিরর প্রথম সাইনিং হিসেবে তারা দলে নিয়েছে ফরাসি ক্লাব লাঁসের উজবেক সেন্টার ব্যাক আবদুকোদির খুসানভকে।
তাঁর সঙ্গে চার বছরের জন্য, অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত চুক্তি করেছে ম্যান সিটি। খুসানভকে কিনতে সিটির খরচ হচ্ছে ৩ কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৫০৬ কোটি টাকা)। উজবেকিস্তানের ইতিহাসে খুসানভই প্রথম ফুটবলার, যিনি প্রিমিয়ার লিগে খেলতে যাচ্ছেন।
বেলারুশিয়ান ক্লাব এনার্জেটিক-বিজিইউ থেকে ১৮ মাস আগে মাত্র ৮৪ হাজার পাউন্ডে ২০ বছর বয়সী খুসানভকে কিনে আনে লাঁস। শুরুতে একাদশের নিয়মতি জায়গা না মিললেও পরে পারফরম্যান্স দিয়েই নিজের জায়গা আদায় করে নিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে বেশ দ্রুততার সঙ্গে নিজের উন্নতিও দেখান এই সেন্টারব্যাক। তাঁকে নিয়ে লাঁসের গোলরক্ষক ব্রাইস সাম্বা বলেছেন, ‘সে একজন দানব, যাকে আমি ভয় পাই।’
লাঁস গোলরক্ষকের কাছে ‘দানব’ হলেও দলটির কোচ উইল স্টাল তাঁকে ডাকেন ‘ট্যাংক’ বলে। আর উজবেকিস্তানে তাঁর ডাক নাম ‘দ্য ট্রেন’। রক্ষণে শক্তিশালীভাবে বাধা দেওয়া, এরিয়াল বা হাওয়ায় বিশেষ দক্ষতা এবং আগ্রাসী স্টাইলের কারণে এই বিশেষণগুলো যুক্ত হয়েছে তাঁর নামের পাশে।
লিগ আঁর দলটির হয়ে লিগে এখন পর্যন্ত ১৬ ম্যাচ খেলেছেন খুসানভ। গত ডিসেম্বরে ফ্রেঞ্চ কাপের ম্যাচে পিএসজির বিপক্ষে নিজের প্রথম গোলও করেছেন তিনি। এ ছাড়া জাতীয় দল উজবেকিস্তানের হয়েও এখন পর্যন্ত ১৮ ম্যাচ খেলেছেন খুসানভ।
সিটিতে যোগ দিয়ে খুসানভ বলেছেন, ‘বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া এক দল। আমার তাদের সঙ্গে দেখা করার এবং একসঙ্গে খেলার তর সইছে না।’ এ সময় কোচ পেপ গার্দিওলারও বেশ প্রশংসা করেছেন এই তরুণ, ‘পেপ গার্দিওলা সর্বকালের সেরা কোচদের একজন। তার কাছ থেকে শেখার জন্য এবং নিজের খেলায় আরও উন্নতি করার জন্য আমি উন্মুখ হয়ে আছি।’
খুসানভকে নিয়ে সিটির ডিরেক্টর অব ফুটবল টিকি বেগিরিস্তিইন বলেছেন, ‘সে এখনই দারুণ বুদ্ধিমান খেলোয়াড়; পাশাপাশি শক্তিশালী, আগ্রাসী এবং দুর্দান্ত গতিময়ও।’
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরতে থাকা সিটি বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে আছে। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান ১২। ২১ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট ৫০, আর সিটির পয়েন্ট ৩৮। চ্যাম্পিয়নস লিগেও সিটি আছে ২২ নম্বরে। এখন খুসানভের আগমন সিটির পারফরম্যান্সে কোনো পার্থক্য গড়তে পারে কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
Publisher & Editor