বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

‘অভিভাবক’ তামিম ও বরিশালের অন্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা হৃদয়ের

প্রকাশিত: ০০:৩৪, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১

আগের ১২ ম্যাচে সব মিলিয়ে তাওহিদ হৃদয়ের রান ছিল ১৯৮। ফিফটি নেই। তাঁকে ওপেনার হিসেবে খেলিয়েও ফল পাচ্ছিল না ফরচুন বরিশাল। সরাসরি চুক্তিতে দলে জায়গা পাওয়া এই ব্যাটসম্যান প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি একদমই।

কিন্তু প্লে-অফে ছন্দে ফিরেছেন হৃদয়। বিপিএলে কাল প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে ৫৬ বলে অপরাজিত ৮২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। ৯ উইকেটের জয়ে দলও উঠেছে ফাইনালে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্টে হৃদয় স্মরণ করেছেন নিজের খারাপ সময়কে।

হৃদয়ের ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, ‘সেদিন “রাইটার্স ব্লক” নামে একটি টার্মের সঙ্গে পরিচিত হলাম। বিস্তারিত পড়াশোনা করে আমার মনে হচ্ছিল, আমিও যেন কোথাও একটা ব্লক খেয়ে আছি। পরিশ্রম করছি নিয়মিত, ধৈর্য ধরেছি, চেষ্টার কমতি নেই; কিন্তু রান হচ্ছিল না। বিশেষ করে গত দুই বিপিএলের পর আমার কাছে সবার প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী।’

গতবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে ১৪ ম্যাচে ৪৬২ রান করেন হৃদয়। তার আগের মৌসুমে খেলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে, ১২ ম্যাচে করেন ৪০৩ রান। দুবারই তাঁর দল ওঠে ফাইনালে। এবার সরাসরি চুক্তিতে তাঁকে দলে নেয় বরিশাল। কিন্তু পারফর্ম করতে না পারলেও ফ্র্যাঞ্চাইজিটি তাঁর ওপর আস্থা রেখেছিল বলে জানিয়েছেন হৃদয়।

অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও অন্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে হৃদয়ের ফেসবুক পেজে লেখা হয়, ‘রান না পাওয়ার আক্ষেপ আমার থেকেও আমি আমার ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে বেশি দেখেছি। তবে তার থেকে বেশি অনুপ্রেরণা দেখেছি আমার আশপাশের মানুষগুলোর চোখে। তামিম ইকবাল ভাই কাউকে বোঝাতে পারব না আপনি অভিভাবক হিসেবে কতটুকু যথার্থ। এত প্রত্যাশা থাকার পরও পুরো টিমের সবাই প্রতিনিয়ত আমাকে বুঝিয়েছেন সবই স্বাভাবিক, হৃদয় রানে ফিরবেই! কৃতজ্ঞতা আমার কোচিং স্টাফ, সকল খেলোয়াড়দের প্রতি। ফিজিও বায়েজিদ ভাই, শাহীন ভাই আপনারা দুজন বিশেষ কিছু আমার জন্য।’

এরপর সমর্থকদের জন্য ভালোবাসার বার্তা দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘ক্রিকেটকে যারা ভালোবাসে, তারা আমাদেরও ভালোবাসে জানি। ভালো খেললে তালি দেয়, আমরা খারাপ করলে তাদের ভেতরেও হতাশা কাজ করে। সত্যি বলতে ভক্তদের এই পজিটিভ-নেগেটিভ ফিডব্যাক দুটিই হোক আমাদের শক্তি। ধন্যবাদ মহান রাব্বুল আলামিনকে, ধন্যবাদ ফরচুন বরিশালের সকল সদস্যকে, ধন্যবাদ আমাদের সকল সমর্থককে।’

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor