নাশতায় শিঙাড়া পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুবই কম। তবে অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও শরীর খারাপের আশঙ্কায় দোকানের ভাজাপোড় খেতে চান না। তাই বলে কি শিঙাড়া খাওয়া ছেড়ে দেবেন? সে চিন্তা এবার করতে হবে না। চাইলে বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন শিঙাড়া।
আর শিঙাড়ার পুর হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ফুলকপি। ফুলকপির মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই দেখে নিন কিভাবে বাড়িতেই বানাবেন ফুলকপির শিঙাড়া। চলুন, দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণ
ময়দা - ২ কাপ
ফুলকপি - ১টি (ছোট ছোট কাটা)
আলু - ২টি (ছোট ডুমো করে কাটা)
পেঁয়াজ কুচি - ১টি (বড়)
কাঁচা মরিচ - ২-৩টি (কুচি করা)
আদা বাটা - ১ চামচ
ধনে পাতা কুচি - ২ চামচ
তেল - ভাজার জন্য পরিমাণ মতো
লবণ - স্বাদমতো
চিনি - ১/২ চামচ (ইচ্ছা অনুযায়ী)
হলুদ গুঁড়া - ১/২ চামচ
জিরা গুঁড়া - ১/২ চামচ
ধনে গুঁড়া - ১/২ চামচ
গরম মশলা গুঁড়া - ১/২ চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে সামান্য লবণ ও তেল দিয়ে ভালো করে ময়দা মেখে নিন। অল্প অল্প করে পানি দিয়ে মেখে ডো তৈরি করুন। ডো যেন খুব শক্ত বা খুব নরম না হয়। ডোগুলো ৩০ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন।
এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা ভাজুন। এরপর আদা বাটা, কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে আরো একটু ভেজে নিন।
ওই তেলেই ফুলকপি ও আলু দিয়ে দিন। ভাজতে ভাজতে হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া ও লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণে সামান্য পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন।
যতক্ষণ না ফুলকপি ও আলু নরম হয়ে যায় ততক্ষণ মাঝারি আঁচে রান্না করুন। সবজি সিদ্ধ হয়ে গেলে চিনি, গরম মশলা গুঁড়া ও ধনে পাতা কুচি দিয়ে মিশিয়ে নিন। পুর ঠাণ্ডা হতে দিন। ময়দার ডো থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে নিন। লেচিগুলো গোল করে বেলে পুর ভরে শিঙাড়ার আকার দিন। মুখ ভালো করে বন্ধ করে দিন, যাতে পুর বেরিয়ে না আসে।
কড়াইয়ে তেল গরম করে মাঝারি আঁচে শিঙাড়াগুলো ছেড়ে দিন। সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। ভেজে তুললেই তৈরি গরম গরম ফুলকপির শিঙাড়া।
কিছু টিপস
পুর বানানোর সময় আপনার স্বাদ অনুযায়ী মশলার পরিমাণ পরিবর্তন করতে পারেন।
শিঙাড়া ভাজার সময় তেল যেন বেশি গরম না হয়, তাহলে শিঙাড়া তাড়াতাড়ি পুড়ে যেতে পারে।
শিঙাড়ার ডো বানানোর সময় সামান্য জোয়ান মেশালে শিঙাড়ার স্বাদ আরো ভালো হবে।
Publisher & Editor