গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যে চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দােলন হামাস। সংগঠনটি জানিয়েছে, তারা ইসরাইলের সব অবশিষ্ট বন্দিকে একসঙ্গে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। তবে এর জন্য শর্ত হিসেবে তারা ইসরায়েলের সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জেরুসালেম পোস্ট।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঘোষণা দিয়ে বলেন, মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধে তারা মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছে, কারণ তারা ইতোমধ্যে যুদ্ধবিরতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলের দাবি হামাসকে গাজা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে—এটি হাস্যকর, নিছক মনস্তাত্ত্বিক কৌশল। প্রতিরোধ বিদ্যমান থাকবে এবং হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
গাজার ভবিষ্যৎ যে কোনো বন্দোবস্ত ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে, তিনি যোগ করেন।
দ্বিতীয় ধাপে এখনো সম্মতি দেয়নি ইসরাইল
সোমবার ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। কায়রোতে এখনো আলোচনার জন্য ইসরাইলি প্রতিনিধিদের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি, ফলে দ্বিতীয় ধাপের জিম্মি মুক্তি-যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থগিত রয়েছে।
এদিকে, কাতার ও মিসর এই আলোচনা সফল করতে নতুন করে মধ্যস্থতা চালিয়ে যাচ্ছে। উভয় দেশ হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করার পথ বের করতে চাইছে। তবে ইসরাইলের কট্টরপন্থি মন্ত্রীরা হামাসের কোনো শর্ত মেনে নেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, যা আলোচনাকে আরও কঠিন করে তুলছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হামাসের নতুন প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে যুদ্ধবিরতির দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তি তৈরি হতে পারে। তবে ইসরাইল এই শর্তে রাজি না হলে সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি তৈরি করবে।
Publisher & Editor