শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

লাতিন আমেরিকা কোনও দেশের ‘উঠোন নয়’, হুঁশিয়ারি চীনের

প্রকাশিত: ০০:২৮, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২

লাতিন আমেরিকা কোনও দেশের ‘উঠোন নয়’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে চীন। এই অঞ্চলের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টার মধ্যেই এশিয়ার পরাশক্তি এই দেশটি এই মন্তব্য করল।

এছাড়া সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় লাতিন আমেরিকার দেশগুলোকে বেইজিং সমর্থন করে বলেও জানিয়েছে চীন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, দক্ষিণ আমেরিকায় সম্পর্ক জোরদার করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচেষ্টার মধ্যে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন— লাতিন আমেরিকা কোনও দেশের “উঠোন নয়”। বুধবার জাতিসংঘে বলিভিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেলিন্ডা সোসার সঙ্গে দেখা করার সময় ওয়াং এ কথা বলেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করতে নিউইয়র্কে রয়েছেন। চীন নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। বেইজিংয়ের প্রকাশিত বিবৃতি অনুসারে— বলিভিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেলিন্ডা সোসাকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বলেন, “লাতিন আমেরিকা হলো লাতিন আমেরিকান জনগণের আবাসস্থল, কোনও দেশের পেছনের উঠোন নয়।”

তিনি আরও বলেন, “চীন তাদের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় লাতিন আমেরিকার দেশগুলোকে সমর্থন করে এবং বলিভিয়াকে তার বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় সমর্থন করে।”

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য এমন এক সময়ে সামনে এলো যখন গত মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দক্ষিণ আমেরিকায় তার প্রথম বিদেশ সফর করেন।

এছাড়া ট্রাম্প মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে “আমেরিকা উপসাগর” করেছেন এবং পানামা খাল দখল করার হুমকি দিয়েছে। আর এটি মধ্য আমেরিকার এই দেশকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ থেকে প্রত্যাহার করতে অনেকটা প্ররোচিত করেছে।

তবে পানামার এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং। ওয়াং বলিভিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, “চীন সর্বদা লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর নির্ভরযোগ্য বন্ধু এবং অংশীদার হবে”।

এর আগে গত মাসে “অংশীদার জাতি” হিসাবে ব্রিকস ব্লকে যোগ দেয় বলিভিয়া। মূলত বছরের পর বছর ধরে বেইজিং দক্ষিণ আমেরিকার সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছে, বিশেষ করে ব্রাজিলের সাথে। ব্রাজিল চীনের মতোই ব্রিকস ব্লকের আরেক প্রতিষ্ঠাতা দেশ এবং এই অঞ্চলে চীনের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হয়ে উঠেছে।

গত বছর পেরু সফরের সময়, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে প্রথম বেইজিং-অর্থায়নকৃত চ্যাঙ্কে বন্দর উদ্বোধন করেছিলেন।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor