শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কারাগারে অনৈতিক সম্পর্ক, নারী কর্মকর্তাকে দেওয়া হলো কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ০১:২৯, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ |

কারাগারে কয়েদির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় যুক্তরাজ্যের এক নারী জেল কর্মকর্তাকে ১২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি ওই কয়েদিকে জেলের ভেতর অন্তত একবার চুমু দিয়েছিলেন। এছাড়া তাকে কিছু আবেদনময়ী মেসেজও পাঠিয়েছিলেন।

সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। টনি কোল নামের ২৯ বছর বয়সী ওই কর্মকর্তা নর্থহাম্পটনশায়ারের ফাইভ ওয়েলস কারাগারে ২৮ বছর বয়সী এক কয়েদির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। তিনি ওই কয়েদির কাছে পাঁচ মাসের ব্যবধানে ৪ হাজার ৪৩১টি মেসেজ পাঠান এবং ফোন করেন।

নর্থহাম্পটনশায়ার পুলিশ জানিয়েছে, ওই মেসেজের মধ্যে অন্তর্বাসের একটি ছবিও ছিল। পুলিশ বলেছে, টিন কোল ওই কয়েদির সঙ্গে লম্বা সময় কাটিয়েছেন। এমনকি অন্তত একবার কারাগারের ভেতর তাকে চুমু দিয়েছিলেন।

মূলত এই নারী জেল কর্মকর্তা অনুমতি ছাড়া ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি কারাগারে ‘ওভারটাইম ডিউটি’ করেছিলেন। কেন তিনি অনুমতি ছাড়া এমনটি করলেন, তা নিয়ে দুইদিন পর একটি বৈঠক হয়। এছাড়া তার ‘ওভারটাইমের’ সময়টির সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায় ওই কয়েদি কোলকে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে আছেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তার মোবাইল ফোনটিও জব্দ করা হয়।

ফোনটিতে থাকা তথ্য যাচাই করে দেখা যায় তাদের দুজনের মধ্যে অন্তত ১৮ বার ভিডিও কলে কথা হয়েছে। এবং তারা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কয়েক হাজার মেসেজ আদান-প্রদান করেন। এছাড়া তদন্তকারীরা খুঁজে পান, এই নারী কর্মকর্তা ওই কয়েদির কোলে বসেছিলেন এবং তাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

গোয়েন্দা পরিদর্শক রিকার্ড কর্নওয়েল বলেছেন, “টনি কোল জানতেন তিনি সম্পূর্ণ নীতিহীন কাজ করছিলেন। এবং তার এই আচরণ শুধুমাত্র তার জীবনকেই হুমকিতে ফেলছিল না, তার সহকর্মী ও অন্যান্য কয়েদিদেরও ঝুঁকিতে ফেলেছিল।”

তিনি আরও বলেন, “বেশিরভাগ কারা কর্মকর্তা সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে কাজ করেন। আমি আশা করি টনি কোলকে যে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেটি অন্যদের স্পষ্ট বার্তা দেবে, যারা দায়িত্বে থেকে জনতার বিশ্বাসকে ভঙ্গ করেন। এছাড়া নীতিহীন সম্পর্ক গড়লে আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এ বার্তাও সবার কাছে যাবে।”

সূত্র: স্কাই নিউজ

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor