বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার বিরুদ্ধে সতর্ক করল কাতার

প্রকাশিত: ০২:৩৩, ১০ মার্চ ২০২৫ | ১১

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যে কোনো আক্রমণের ফলে সমগ্র অঞ্চলের জন্য বিপর্যয়কর পরিণতি হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আল থানি ইরানের পারমাণবিক সমস্যার কূটনৈতিক সমাধানের আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, আমরা এই অঞ্চলে কোনোভাবেই কোনো সামরিক পদক্ষেপকে সমর্থন করি না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে একটি কূটনৈতিক সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত আমরা প্রচেষ্টা থামাব না।

কাতার ইসরায়েলের সমালোচনায় ক্রমশ সোচ্চার হয়ে উঠছে। ইসরায়েলের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে দেশটি। শনিবার ভিয়েনায় সংস্থাটির এক অধিবেশনে ইসরায়েলকে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি সই করার আহ্বানও জানায় কাতার।

প্রধানমন্ত্রী আল থানি বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করা হলে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর খাবার পানি তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এটি কেবল কাতারের জন্যই প্রযোজ্য নয়, এটি কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত - আমাদের সকলের জন্য প্রযোজ্য।

এর আগে ফক্স বিজনেসে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানকে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি বলেছেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্রধর হওয়া ঠেকাতে দুটি পথ আছে। একটি হচ্ছে সামরিক পথ (ইরানের স্থাপনায় আক্রমণের ইঙ্গিত), অন্যটি হলো চুক্তি করা।

মার্কিন নেতার এমন মন্তব্যের একদিন পর ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক থেকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, 'গুন্ডামি' করে বেড়ানো শক্তিগুলোর আলোচনার আহ্বানটি সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নয়। এটি ইরানের ওপর তাদের প্রত্যাশা চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা। ইরান অবশ্যই তাদের প্রত্যাশা মেনে নেবে না।

খামেনি জোর দিয়ে বলেন, উৎপীড়নকারী শক্তিগুলো কেবল পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা করতে চায় না। তাদের জন্য আলোচনার মানে নতুন প্রত্যাশা আরোপের একটি পথ, বিশেষ করে ইরানের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক অবস্থান সম্পর্কে। তারা জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি করার লক্ষ্য রাখছে যে, আলোচনার জন্য তাদের প্রস্তুতি সত্ত্বেও, আমরা কেন আলোচনায় অনিচ্ছুক। তবে তাদের আসল লক্ষ্য আলোচনা নয়, বরং আধিপত্য বিস্তার এবং চাপিয়ে দেওয়া।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor