একসময় শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে ব্লাউজ বেছে নিতেন নারীরা। কিন্তু এখন হয়েছে উল্টো, ব্লাউজের সঙ্গে মিলিয়ে শাড়ি পরেন তাঁরা। কারণ, ব্লাউজের নকশার ওপর শাড়ির সৌন্দর্য নির্ভর করে অনেকটাই। আজকাল ব্লাউজের কাটেও আসছে নিত্যনতুন ভিন্নতা। জেনে নেওয়া যাক এবার ঈদে ব্লাউজের কেমন ধারা থাকছে। ঈদে জমকালো ব্লাউজই চাচ্ছেন সবাই। তবে সাদামাটা নকশাগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে না। দুই ধরনের ব্লাউজেই সৃজনশীলতার ছোঁয়া আনতে চেষ্টা করছেন ডিজাইনাররা। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেল, ব্লাউজে সুতি, সিল্ক, অরগাঞ্জা, জর্জেট ও নেটের ব্যবহার হচ্ছে বেশি।
নিউমার্কেটের চাঁদনিচকে নজর কাড়ছে গুজরাটি ডিজাইনের ব্লাউজ। পাতলা মখমলের ব্লাউজও আছে। এবার সাদা, হলুদ, সবুজ, বেগুনি, বাদামি রংগুলোই যেন ঘুরেফিরে চোখে পড়ল। বোট নেক, ভি নেক, পানপাতা, হাইনেক, র্যাফলের পাশাপাশি স্বচ্ছ গলার ব্লাউজেরও দেখা মিলল। স্বচ্ছ গলার জমকালো ব্লাউজের এক পাশে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে কাপড়ের ফুল।
ব্লাউজের গলা, হাতা ও পেছনের অংশ—তিনটিই সমান গুরুত্বপূর্ণ। র্যাফল বা কুঁচি দেওয়া হাতা, কোল্ড শোল্ডার, ড্রপ শোল্ডার, বেলুন বা ফোলানো হাতা ও হাতাকাটা ব্লাউজের পাশাপাশি হাতে থাকছে আমব্রেলা ছাঁটের কাট। হাতার নিচের অংশে কখনো ঝুলছে পুঁতি, আবার কখনো মুক্তা। মসলিন, জর্জেট, জামদানিসহ প্রায় সব ধরনের শাড়ির সঙ্গেই কাজ করা ব্লাউজ বেছে নিচ্ছেন তরুণীরা, জানালেন ইমপ্রেশনের স্বত্বাধিকারী এলিজা সিকদার। তিনি বলেন, মূলত ফ্যাশন–সচেতন তরুণীদের কথা মাথায় রেখেই ব্লাউজের নকশা করেন তিনি। ব্লাউজের ওপর আছে মুক্তা, গ্লিটার, পুঁতি ও লেসের কাজ।
রাজধানীর গুলশানের পিংক সিটি শপিং মলে কেনাকাটা করতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া নাফিসা নূর জানান, শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নয়, বরং শাড়ির বিপরীত রঙের ব্লাউজ পড়তেই পছন্দ করেন তিনি। মনোক্রোমাটিক লুক না এনে, বরং শাড়ি ও ব্লাউজের রংকে আলাদাভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টায় থাকেন তিনি।
ব্লাউজের পেছনের দিকটাতেও এখন দেখা যাচ্ছে নানা বৈচিত্র্য। কেউ কেউ ব্লাউজের পিঠে জুড়ে দিচ্ছেন লেস, পুঁতি, টার্সেল কিংবা মেটাল, আবার কেউবা ব্যবহার করছেন বো-টাইয়ের মতো ডিজাইন।
অনেকে আবার ব্লাউজের পেছনে জুড়ে দিচ্ছেন ফিতা। বোতামের পরিবর্তে ব্লাউজের দুই পাশে জিপারের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এখনকার ব্লাউজগুলো লম্বা ধরা হচ্ছে প্রায় কোমর পর্যন্ত। ব্লাউজ দেখতে কতটা ভালো লাগবে, তার অনেকটাই ফিটিংসের ওপর নির্ভর করে। ব্লাউজ কিনতে বা বানাতে দেওয়ার আগে ব্লাউজের ফিটিং ঠিকমতো বুঝে নিন। যেমন ডিজাইনের ব্লাউজই পরুন না কেন, সেটি পরে যদি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, সেটি যদি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বহন করতে না পারেন, তাহলে পুরো সাজেই তার প্রভাব পড়বে।
Publisher & Editor