শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

সিরিজটি কখনো হাসাবে, কখনো কাঁদাবে

প্রকাশিত: ০২:৩৫, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬

কোরিয়ার ষাটের দশকের দুই তরুণ-তরুণীর জীবনের গল্পকে পর্দায় তুলে এনেছেন নির্মাতা কিম উন-সিয়ক। গল্পের পরতে পরতে স্মৃতিকাতরতা। হোয়েন লাইফ গিভস ইউ ট্যানজারিনস দেখে দর্শক কখনো কেঁদেছেন, কখনো হেসেছেন। গত ৭ মার্চ মুক্তি পেয়েছে ১৬ পর্বের এই সিরিজ। এ সপ্তাহে নেটফ্লিক্সের অ-ইংরেজিভাষী সিরিজের তালিকার শীর্ষে রয়েছে এটি।

বাংলাদেশের দর্শকও সিরিজটি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। ‘কোরিয়ান মুভি অ্যান্ড ড্রামা লাভার বিডি’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে সিরিজটি নিয়ে আলোচনা করছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন, দীর্ঘদিন পর কোনো কোরীয় সিরিজ নিয়ে এতটা ইতিবাচক আলোচনা দেখছেন তাঁরা। সিরাজুম মনিরা নামের এক দর্শক লিখেছেন, ‘আপনি আপনার পরিবারের বা আশপাশের মানুষদের সাধারণ জীবনযাপন খুঁজে পাবেন। কখনো হাসবেন, কখনো কাঁদবেন।’

নাদিয়া ইসলাম নামের আরেক দর্শক লিখেছেন, ‘একটি সাধারণ জীবনের অসাধারণ গল্প কী সুন্দর করে প্রকাশ করা যায়, এটি তার উদাহরণ। মানুষের জীবন সব সময় একই রকম থাকে না। দুঃখ-সুখ নিয়ে গড়া এই সহজ জীবন পার করার নানা ধাপ তুলে ধরে ড্রামাতে।’ আরেক দর্শক সুদীপ্ত কুমার লিখেছেন, ‘এই সিরিজ দেখে কিছু কিছু মুহূর্তে আমার চোখের কোনায় জল এসে জমেছিল। এই সিরিজের রেশ মনে হয় অনেক দিন থেকে যাবে।’

ষাটের দশকের দুই চরিত্র আ সন ও গোয়ান সিককে নিয়ে আবর্তিত হয়েছে সিরিজের গল্প। গল্পে কোনো রহস্য নেই, সাদামাটা জীবনের গল্প নিপুণভাবে বুনেছেন নির্মাতা। নির্মাতা কিম উন-সিয়ক বলছেন, সিরিজটি দাদা-দাদি, বাবা-মায়েদের প্রজন্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্মাণ করেছেন।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor