রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

হকিতে বাংলাদেশের ব্যর্থতার দায় কার?

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ |

এএইচএফ কাপে টানা চারবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে। শেষ চারে ওমানের কাছে ৫-৪ গোলে হেরেছেন পুষ্কর খীসা মিমোরা। ফলে লাল-সবুজের দল এই প্রথম খেলতে পারছে না এশিয়া কাপে। 

এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে হকি অঙ্গনে। ব্যর্থতার জন্য সরাসরি ফেডারেশনকে দায়ী করেছেন সাবেক তারকা খেলোয়াড় আরিফুল হক প্রিন্স। তার কথা, ‘হকিতে দেশের চেয়ে ব্যক্তি ও ক্লাবের স্বার্থ বড় করে দেখা হচ্ছে। একই ঘটনা ঘটেছে এএইচএফ টুর্নামেন্টেও। রাসেল মাহমুদ জিমির মতো খেলোয়াড়কে তারা ট্রায়ালেই ডাকেনি। এ নিয়ে সমালোচনা হলেও কর্ণপাত করেনি ফেডারেশন। সঠিক দল নির্বাচন না করায় এই ফল। এ দায় কোচ ও ফেডারেশনকে নিতেই হবে।’

আরেক সাবেক খেলোয়াড় এবং ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদ এএ আদেল বলেন, ‘জিমি থাকলে অবশ্যই ভালো হতো। কিন্তু একজন নেই এজন্য দল এত খারাপ খেলবে, আমি তা বিশ্বাস করি না। দলের অনেকে অভিজ্ঞ। ফেডারেশনের কমিটি নিয়ে যখন সমালোচনা হয়েছিল তখন সার্চ কমিটি বলেছিল, কমিটির লোকরা ভালো। আমিও বলব, তারা ভালো; কিন্তু দীর্ঘদিন হকির সঙ্গে নেই। যারা হকির সঙ্গে আছে তাদের দিয়েই কমিটি করা দরকার ছিল। এখন দ্রুত নির্বাচন দিয়ে যোগ্য লোকের আসার ব্যবস্থা করা উচিত।’

এএইচএফ কাপ হকির কুপার টেস্টে হকি ফেডারেশন ৫০ জনের বেশি খেলোয়াড় ডেকেছিল। অথচ হকির সুপারস্টার জিমিকে ফেডারেশন সেই তালিকায় রাখেনি। তাকে না ডাকার পেছনে যুক্তি ছিল তাদের, ৩২ বছরের বেশি খেলোয়াড়দের বিবেচনা করা হচ্ছে না। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে হকি ফেডারেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও গুরুত্ব দেননি বর্তমান কমিটির কর্তারা। যদিও এশিয়ান হকিতে অনন্য রেকর্ড রয়েছে জিমির। টানা ছয়টি এশিয়া কাপ হকি খেলেছেন তিনি। এই কৃতিত্ব এশিয়ার আর কোনো হকি খেলোয়াড়ের নেই। ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় এশিয়ান হকি ফেডারেশন তাকে সম্মাননাও জানায়। বয়স ৩৭ হলেও ফিটনেসে তিনি এখনো অনেকের চেয়ে এগিয়ে।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor