ভারতের রাজধানী দিল্লির ছেলে বিরাট কোহলি; কিন্তু আইপিএলে খেলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। বিষয়টি কারও অজানা নয়। ঘরের ছেলে কোহলি ঘরের ফিরে আইপিএলে আজ খেলতে নেমেছিলেন স্থানীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। তাঁর ফেরাটাও হয়ে রইল স্মরণীয়। আরেকটি ফিফটিতে বেঙ্গালুরুর জয়ে দারুণ অবদান রাখলেন। দলও উঠে এল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।
অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৬২ রান করেছিল দিল্লি। জবাবে ৯ বল আর ৬ উইকেট বাকি রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে বেঙ্গালুরু।
এ মৌসুমে প্রতিপক্ষের মাঠে এখন পর্যন্ত খেলা ছয় ম্যাচেই জিতল কোহলির বেঙ্গালুরু। সঙ্গে নিজেদের মাঠ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচেই পাওয়া জয়ে পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়াল ১৪। দিল্লি ১২ পয়েন্টে আটকে থেকে নেমে গেল চারে।
কোহলি ৫১ রান করে আউট হলেও বেঙ্গালুরুর জয় তখন ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। এরপর টিম ডেভিড নেমেই দিল্লির বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
কিন্তু এই ম্যাচের আসল নায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়া। হার্দিক পান্ডিয়ার বড় ভাই ক্রুনাল ব্যাট হাতে ৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন, যা আইপিএল ক্যারিয়ারে তাঁর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বোলিংও বেশ ভালোই করেছেন—৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে শিকার ১ উইকেট। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন ক্রুনাল।
তবে স্কোরকার্ডে তাকিয়ে বেঙ্গালুরুর জয় যতটা সহজ মনে হচ্ছে না, শুরুর দিকে ব্যাটসম্যানদের কাজ ততটা সহজ ছিল না। দিল্লি অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেলের ঘূর্ণি আর করুণ নায়ারের দারুণ ফিল্ডিংয়ে ২৬ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু।
এরপর চতুর্থ উইকেটে ১১৯ রানের জুটি গড়েন কোহলি ও ক্রুনাল। কোহলি তাঁর স্বভাবসুলভ ঢংয়ে একপ্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করে গেছেন। আর ক্রুনাল থিতু হতেই হাত খুলে মেরেছেন। এক পর্যায়ে দিল্লির বোলাররা লাইন–লেংথ হারিয়ে ফেললে তারা ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দিল্লি ক্যাপিটালস: ২০ ওভারে ১৬২/৮ (রাহুল ৪১, স্টাবস ৩৪, পোরেল ২৮, ডু প্লেসি ২২; ভুবনেশ্বর ৩/৩৩, হ্যাজলউড ২/৩৬, ক্রুনাল ১/২৮, দয়াল ১/৪২)।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৮.৩ ওভারে ১৬৫/৪ (ক্রুনাল ৭৩*, কোহলি ৫১, ডেভিড ১৯*, বেথেল ১২; অক্ষর ২/১৯, চামিরা ১/২৪)।
ফল: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ক্রুনাল পান্ডিয়া।
Publisher & Editor