পুলিশি হেফাজতে তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরানের বেশ কয়েকটি শহড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে চলমান এ বিক্ষোভে এ পর্যন্ত শিশুসহ অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছেন। নরওয়ে ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর রয়টার্সের।
আইএইচআর টুইটারে বলেছে, 'ইরানের বিক্ষোভে শিশুসহ অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। '
২০১৯ সালে পেট্রলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ইরানে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছিল। তারপর এটিই ইরানের রাস্তায় হওয়া সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।
টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, রাজধানী তেহরান, কোম, রাশত, সানন্দাজ, মাসজিদ-ই-সুলেমানসহ বিভিন্ন শহরে ধর্মীয় শাসকদের পতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছে বিক্ষোভকারীরা। ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা এবং ইরানি কর্তৃপক্ষের ভয়াবহ দমন নিপীড়ণ সত্ত্বেও থামছে না বিক্ষোভ।
বিক্ষোভকারীদের 'দাঙ্গাবাজ' হিসেবে উল্লেখ করে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশিন জানিয়েছে, পুলিশ বিপুল সংখ্যক 'দাঙ্গাবাজকে' গ্রেপ্তার করেছে। তবে কোনো পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়নি।
আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে নরওয়ের অসলোতেও বিক্ষোভ হয়েছে। এনআরকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কিছু বিক্ষোভকারী নরওয়ের ইরানি দূতাবাসে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। নরওয়েজিয়ান পুলিশ জানিয়েছে ৯৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন।
এদিকে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, আমিনির মৃত্যুর পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর হিজাব না পরার দায়ে মাহসা আমিনিকে গ্রেপ্তার করে ইরানের পুলিশ। তার তিনদিন পর পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে ২২ বছর বয়সী এই তরুণীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই ইরানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।
সূত্র : রয়টার্স।
Publisher & Editor