বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন, ঋষি সুনকের ‘শিকড়’ আসলে পাকিস্তানে!

১৯৪৭-এ ভারত ভাগের অনেক আগেই দেশ ছেড়েছিলেন ঋষির ঠাকুরদাদা, পঞ্জাবি ক্ষত্রি সম্প্রদায়ের রামদাস সুনক। পাক পঞ্জাবের গুজরানওয়ালা থেকে চাকরি নিয়ে ১৯৩৫ সালে চলে গিয়েছিলেন কেনিয়ায়। ঋষি সুনকের ‘শিকড়’ নিয়ে এ বার পাক দাবি।

প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ২৫ অক্টোবর ২০২২ | ৫১৩

ব্রিটেনের প্রথম অশেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রীর ‘শিকড়’ নিয়ে এ বার দ্বৈরথে ভারত ও পাকিস্তান। সোমবার কনজ়ারভেটিভ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্লামেন্ট সদস্যের সমর্থনে ঋষি ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হওয়ার পরেই তাঁর পরিবারের ‘ভারত-যোগ’ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। মঙ্গলবার উঠে এসেছে পাল্টা দাবি। ঋষির ঠাকুরদাদা যে আদতে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন, সে কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

১৯৪৭-এ ভারত ভাগের অনেক আগেই দেশ ছেড়েছিলেন ঋষির ঠাকুরদাদা, পঞ্জাবি ক্ষত্রি সম্প্রদায়ের রামদাস সুনক। বর্তমান পাক পঞ্জাবের গুজরানওয়ালা থেকে চাকরি নিয়ে ১৯৩৫ সালে চলে গিয়েছিলেন কেনিয়ার নাইরোবিতে। ঘটনাচক্রে, তাঁর দেশ ছাড়ার কিছু দিন আগেই গুজরানওয়ালায় বড় ধরনের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।

রামদাসের স্ত্রী সুহাগরানি অবশ্য সেই সময় দিল্লি চলে এসেছিলেন। ১৯৩৭-এ তিনি কেনিয়া যান। পরবর্তী কালে তাঁর দু’জনেই চলে যান ব্রিটেনে।

ঋষির বাবা জশবীরের জন্ম হয়েছিল কেনিয়াতেই। তিনি ব্রিটেনে চিকিৎসক ছিলেন। মা ঊষা ছিলেন ফার্মাসিস্ট। তাঁর পরিবারও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ব্রিটেনে এসে থিতু হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ঋষির ‘পাক-যোগ’ নিয়ে ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে নানা দাবি, পাল্টা দাবি শোনা যাচ্ছে।
-সূত্র: আনন্দবাজার

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor