বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আসামের গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস পালিত

প্রকাশিত: ০১:০৮, ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৪০৬

বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের আয়োজনে আসামের গুয়াহাটিতে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দমুখর পরিবেশে ৫৩তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে । এ উপলক্ষ্যে ২৭ মার্চ তারিখে গুয়াহাটির একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসাম সরকারের ‘এক্ট ইস্ট পলিসি আ্যফেয়ার্স’ মন্ত্রী শ্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারী । সম্মানিত অতিথি হিসেবে আসাম বিধানসভার সদস্য শ্রী তরঙ্গ গগই, শ্রী লরেন্স ইসলারী ও তথ্য কমিশনার ডঃ সমুদ্র গুপ্ত কাশ্যপ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে আসাম সরকারের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব শ্রী মনিন্দর সিং, আইএএস উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত প্রায় আড়াইশ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ভুটানের কনসাল জেনারেল, উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ, আসামের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলের সম্পাদক ও সাংবাদিকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পীবৃন্দ এবং আসামে অধ্যয়নরত বাংলাদেশীরা ।
প্রধান অতিথি চন্দ্র মোহন পাটোয়ারী তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের মানুষকে সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান । এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ও আসামের মধ্যে সহযোগিতামূলক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির গুরত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন । তিনি বলেন যে, শীঘ্রই ঢাকা-গুয়াহাটি সরাসরি বিমান ও বাস চলাচল শুরু হবে এবং এ লক্ষ্যে আসাম সরকার কাজ করছে ।
এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্কের নানাদিক তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে । সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিন তার স্বাগত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ, দুই লক্ষ সম্ভ্রম-হারানো মা-বোন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান । তিনি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক সাফল্যের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ সম্পর্কে অতিথিদের অবহিত করেন ।
তরঙ্গ গগই তাঁর বক্তব্যে পোশাকশিল্প খাতে সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। লরেন্স ইসলারী তাঁর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন । মনিন্দর সিং বাংলাদেশ ও আসামের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোকপাত করেন ।
বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সহকারী হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ফুল ও আসামের ঐতিহ্যবাহী ‘গামুছা’ দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় । দিবসটি উপলক্ষ্যে হোটেলটি বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের আলোকচিত্র ও ফুল দিয়ে সাজানো হয় । এছাড়া অতিথিদের জন্য স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় বাংলা ও অসমীয়া নাচে-গানে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয় । আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয় ।
অন্যদিকে ২৬ মার্চ সকালে সহকারী হাইকমিশনের কর্মচারীদের উপস্থিতিতে সহকারী হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন । তাছাড়া এদিন মিশনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুলেল শ্রদ্ধা, বিশেষ মোনাজাত, বাণী পাঠ ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় ।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor